জাগো নারায়ণগঞ্জঃ

নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লার কুতুবপুরে পাগলা নয়ামাটি চিতাশাল খালপাড় এলাকায় ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও কাঙালী ভোজের আয়োজনের উদ্দেশ্যে দুই রকমের কার্ড বিলি করা হয়েছে। একেই অনুষ্ঠানের দুই রকমের কার্ড বিলি করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে কয়েকজন সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশেষ কোন দিন আসলেই এই ধরণের কার্ডের মাধ্যমে দাওয়াত দেওয়া হয় কিন্তু একই অনুষ্ঠানে দুই রকমের কার্ড বিলি করার কারণে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি আসলে কতুবপুর কার নেতৃত্বে চলে। দুইটি কার্ডের মধ্যেই কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনকে সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানকে প্রধান অতিথি করা হলেও বিশেষ অতিথি ও শুভেচ্ছান্তের তালিকা ভিন্নতা রয়েছে।

একটি কার্ডের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক শাহ নিজাম নাম এবং শুভেচ্ছান্তে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ক্লাবের নাম। অপরটিতে প্রথমে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেলের নাম এবং শুভেচ্ছান্তের তালিকায় রয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকের নাম।

যেহেতু আওয়ামী লীগ একযুগ ধরে ক্ষমতায়, সে কারণে গড়ে উঠেছে বহু সাইনবোর্ড সর্বস্ব, অস্তিত্বহীন রাজনৈতিক সংগঠন। যাদের কাজ হচ্ছে, বিভিন্ন দিবসে অনুষ্ঠান আয়োজন করা। নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করা। উদ্দেশ্য চাঁদাবাজি। সারা বছর ধরেই চলে এই বাণিজ্য। তবে বিশেষ বিশেষ দিবসে এর মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামের সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছিনা আমার সাথে কেউ কথা বলেছ বলে মনে হয় না। আমি বিষয়টি নিয়ে জসিম ভাইয়ের সাথে কথা বলে দেখছি।

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিফ বলেন, আমাদের প্রথম কার্ডটি ছাপানো ভুল হয়েছিল পরবর্তীতে আবার ঠিক করেছি এই জন্য সমস্যা হয়েছে। কার্ডের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা কোন চাঁদাবাজি করছি না কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নিচ্ছি না।